ওয়েবসাইটের লেআউট ডিজাইন করা শুধু রঙ বা ফন্ট বাছাই নয়, বরং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience) এবং ভিজ্যুয়াল স্টাইলের সঠিক সমন্বয়। সঠিক লেআউট দর্শককে সহজে কন্টেন্ট খুঁজে পেতে এবং সাইটে বেশি সময় কাটাতে সাহায্য করে।
1️⃣ উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা ঠিক করুন
প্রথমে ভাবুন, আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য কী — ব্লগ, ই-কমার্স, পোর্টফোলিও নাকি বিজনেস সাইট? উদ্দেশ্য অনুযায়ী ডিজাইন কনসেপ্ট ঠিক করতে হবে।
2️⃣ ওয়্যারফ্রেম তৈরি করুন
ওয়্যারফ্রেম হলো ওয়েবসাইটের স্কেচ বা প্রাথমিক নকশা। এতে হেডার, মেনু, কন্টেন্ট এরিয়া, সাইডবার, ফুটার—সব কিছুর অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। Figma, Adobe XD বা কাগজ-কলম দিয়েও করতে পারেন।
3️⃣ রঙের সমন্বয় (Color Scheme)
ওয়েবসাইটের রঙ ব্র্যান্ডের সাথে মানানসই হতে হবে। সাধারণত ২–৩টি প্রাইমারি রঙ এবং ১–২টি অ্যাকসেন্ট রঙ ব্যবহার করা ভালো।
4️⃣ টাইপোগ্রাফি (Typography)
ফন্ট পড়তে সহজ হতে হবে। Google Fonts থেকে সুন্দর ও ফ্রি ফন্ট বেছে নিতে পারেন। শিরোনাম, সাব-হেডিং ও বডি টেক্সটের জন্য আলাদা ফন্ট সাইজ ব্যবহার করুন।
5️⃣ রেসপন্সিভ ডিজাইন
ডেস্কটপ, ট্যাবলেট এবং মোবাইল—সব ডিভাইসে যেন সাইট সুন্দরভাবে দেখা যায়। এজন্য CSS Flexbox, Grid বা Bootstrap ব্যবহার করতে পারেন।
6️⃣ ভিজ্যুয়াল হায়ারার্কি
গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট আগে দেখাতে হবে। বড় শিরোনাম, হাইলাইট রঙ, এবং ফাঁকা স্পেস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর চোখ টানুন।
7️⃣ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) অপ্টিমাইজেশন
মেনু সহজ ও পরিষ্কার রাখুন, লোডিং টাইম কমান, এবং ফন্ট সাইজ যেন মোবাইলে ছোট না লাগে সেটা নিশ্চিত করুন।
✅ শেষ কথা:
ওয়েবসাইটের লেআউট ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সৃজনশীলতা ও ব্যবহারযোগ্যতার সমন্বয় করতে হয়। শুরুতে সহজ ডিজাইন দিয়ে শুরু করুন, পরে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরিবর্তন আনুন।
ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস
রেসপন্সিভ ডিজাইন, UI/UX উন্নয়ন এবং কাস্টম লেআউট — ক্লায়েন্টের চাহিদা মতো সাইট বানিয়ে দিই।